‘নতুন বাংলাদেশ’ দিবস নিয়ে আপত্তি, পুনর্বিবেচনা করবে সরকার

L.M. ২৭ জুন ২০২৫ ১১:১৪ পি.এম

ছবি সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করায় বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠেছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন- ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবসের পর কেন ৮ আগস্টকে নতুন আরেকটি দিবস হিসেবে পালন করতে হবে।

বলা হচ্ছে ৮ আগস্ট নয়, নতুন বাংলাদেশের যাত্রার দিন ৫ আগস্ট। নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা হলে এদিনকেই ঘোষণা করার কথা। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন পক্ষ সরাসরি এই দিবস ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছে। একই সঙ্গে ‘নতুন বাংলাদেশ’ এমন শিরোনামে দিবস ঘোষণার আইনী ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ওদিকে সমালোচনার মুখে এই দিবস নিয়ে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার কথা ভাবছে সরকার। আজ শুক্রবার (২৭ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই দিবসগুলোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’-এর পাশাপাশি ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং পাঁচ অগাস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করে গত বুধবার একটি পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এদিকে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ শুক্রবার তার ভেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ৫ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করা উচিত।

এছাড়া ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস নিয়ে আপত্তি তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তিন নেতা। দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নিজেদের ফেসবুক পোস্টে এই আপত্তি জানান।

আখতার হোসেন ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস সেদিন হবে, যেদিন জুলাই ঘোষণাপত্র আসবে, যেদিন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে।’

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘৮ আগস্ট না, ৫ আগস্ট জন্ম হয়েছে নতুন বাংলাদেশের।৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’

সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ৮ আগস্ট শুরু হয়নি। এদিন দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার ও বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’’ ৫ আগস্টই।’

জাতীয় অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশ দিবস নিয়ে আপত্তি পুনর্বিবেচনা