সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

M.A. ১৯ জুন ২০২৫ ০৫:১৯ পি.এম

ছবি সংগৃহীত

এনএস রিপোর্ট

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে এখনও অনড় সচিবালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। ঈদের ছুটির পর টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে সচিবালয়ের ভেতরে। প্রতিদিনই কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্লা ভারী হচ্ছে। বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মিছিল শ্লোগানে উত্তপ্ত সচিবালয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলে সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে রবিবার (২২ জুন) থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে।

এদিকে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পঞ্চম দিনের মতো কর্মসূচি শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে। এ দিন সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

'আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই', 'মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন', 'ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান', 'লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে', জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে- আন্দোলনকারীদের এমন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো সচিবালয়।

এ দিন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির ও মো. নুরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলামকে।

জারি করা সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- মর্মে ধারাটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।

গত ২৫ মে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর আগে ২২ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৪ মে থেকে আইনটি প্রত্যাহার এবং বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করছে।

জাতীয় বাংলাদেশ সচিবালয় বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ