নিউজ ডেক্স ০৯ মে ২০২৪ ০৭:২৬ পি.এম
প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে এত ভেজাল খাবার এবং অলসতা ও বদভ্যাস আমাদেরকে ঘিরে আছে, যার ফলে যৌনক্ষমতা কমে যেতে থাকা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তা জানেন না অনেকেই।
একসময় ৫০-৬০ বছরেও পুরুষের যৌনক্ষমতা অটুট থাকতো, কিন্তু এখন বয়স ৩০ এর উপরে গেলেই সবাই যৌনাকাঙ্ক্ষা এবং শক্তি হারাতে শুরু করে। কিন্তু কি জন্য কমে যাচ্ছে পুরুষের যৌনক্ষমতা?
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে বলা হয় টেস্টোস্টেরন ঘাটতি। বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে।
বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন। প্রজনন ও যৌন ক্ষমতা পুরোপুরিই টেস্টোস্টেরন হরমোনের উপর নির্ভরশীল।
টেস্টোস্টেরন কী?
টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে।
তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়। টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কী?
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতিকে মেল হাইপোগোনাডিজম বা লো-টি(Low-T) ও বলা হয়। এটা এমন একটা অবস্থা যখন অণ্ডকোষ পর্যাপ্ত টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করতে পারে না।বয়সের সাথে সাথে এই হরমোন কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্রিশ বছর বয়সের পর সাধারণত প্রতিবছর এক শতাংশ হারে এটি কমতে থাকে।
তবে যখন এই কমতির হার বয়স ছাড়াও অন্যান্য নানা বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখনই এটিকে ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। যদি পুরুষদের মধ্যে ২৫০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটারের কম টেস্টোস্টেরন থাকে তাহলে বলতে হবে যে, তার এই হরমোনের ঘাটতি রয়েছে। এই হরমোনের ঘাটতির কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ কী?
টেস্টোস্টেরনের কম যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে-
#যৌন তাড়না কমে যাওয়া
#যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা
#যৌন মিলনে অক্ষমতা
#অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া
#শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া
#বন্ধ্যাত্ব
#ঘুমে সমস্যা
#মনোযোগে সমস্যা
#কাজে উৎসাহ না পাওয়া
#মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া
#হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া
#পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া
# বিষণ্ণতা
#ক্লান্তি ও অবসাদ।
কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোন চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেসটোসটেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হচ্ছে-
*স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
*নিয়মিত ব্যায়াম করা
*ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা*
*অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা
*টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে
*অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে
*রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
*মামস হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
চিকিৎসা কী?
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর আসলে কোন একক চিকিৎসা নেই। কারণ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। তাই নিয়মিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
নবীন নিউজ/জেড
৫ বছরের জন্য স্থগিত ডা. স্বপ্নীলের চিকিৎসা সনদ
দেশে আরও ২৪৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডা. সায়েদুর রহমান
করোনার নতুন ধরন শনাক্ত, স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ
ফিরতি যাত্রায় রেলে চড়তে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক পরে
দেশে করোনায় আরেকজনের মৃত্যু হলো
আবারো করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৪
এখনও বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল
এবার যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের ‘নতুন রূপ’ শনাক্ত
এশিয়ায় মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার নতুন রূপ
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯ জন
দেশের সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, মিলবে কম দামে ওষুধ
যক্ষ্মার নতুন ঝুঁকিতে দেশ
খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান শনাক্তে কঠোর নীতিমালার আহ্বান
অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান
‘নতুন মহামারির’ হানা যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুহার ৩৯ শতাংশ
বন্ধ হতে পারে সরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ
বকশিশ না দেওয়ায় অক্সিজেন বন্ধ, নবজাতকের মৃত্যু
২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
বরুণ ফুলের ঔষধি গুণ—প্রাকৃতিক চিকিৎসার এক বিস্ময়
স্বাস্থ্য ক্যাডারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু
অব্যবস্থাপনা ও লুটপাটে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে: ডা. ফরহাদ হালিম
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত
দেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ সোমবার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত, মহামারির শঙ্কা
শোল্ডার সার্জারির উন্নয়নে বাংলাদেশে বিশেষ কর্মশালা
ফিরে দেখা: ‘ভারতে মেয়েদের জন্য ৬ মাসের মধ্যে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন’
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ঢাকার বাতাস, জানালা বন্ধের পরামর্শ!
অস্বচ্ছল চক্ষু রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান