প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে টিউলিপের উকিল নোটিশ

এনএস ডেস্ক 

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মূহাম্মদ ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

নোটিশে অভিযোগ তোলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা ও তার সুনাম নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত প্রচারণা চালাচ্ছেন।

যুক্তরাজ্যের আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপির মাধ্যমে এ উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। ওই নোটিশে তার দেওয়া চিঠির জবাব না দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা হয়। 

নোটিশে টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ও দুদকের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে তার সুনাম ক্ষুন্ন করা। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা। 

টিউলিপের মতে, তার নির্বাচনী এলাকা, রাজনৈতিক দল এবং দেশ সেবার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে। যেগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

উকিল নোটিশে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল টিউলিপের পক্ষ থেকে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চিঠি পাঠানো হয়। ৪ জুন একটি চিঠি পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টাকে। এখনও সে চিঠির কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। 

আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড নোটিশে বলেছে, তারা চিঠিতে স্পষ্ট করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক একটি পরিকল্পিত অভিযানের শিকার। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক। চিঠিতে এটা দেখানো হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ অসত্য। 

উকিল নোটিশে বলা হয়, ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের কথা শুনে টিউলিপ দুদকের অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা দুঃখজনকভাবে সে প্রস্তাব গ্রহণে ব্যর্থ হন। 

নোটিশে বলা হয়, আমাদের প্রত্যাশা ছিল, যুক্তরাজ্যের নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করবেন। এছাড়া তার এটাও মাথায় রাখা উচিত ছিল, দুদকের পক্ষ থেকে যখন তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন টিউলিপকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করাটা সমীচীন নয়। 

নোটিশে স্টেফেনসন হারউড টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ না করার দু'টি কারণ থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে। এর প্রথমটি হিসেবে বলা হয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলো মিথ্যা হওয়ায় তিনি সাক্ষাৎ দিতে চাননি। দ্বিতীয় কারণ হতে পারে, এ বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা দুদকের আড়ালে থাকতে চেয়েছেন।

নোটিশে আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড বলেছে, যদি এই চিঠি (নোটিশ) এবং আমাদের আগের চিঠিগুলোর যথাযথ জবাব ৩০ জুনের মধ্যে না দেওয়া হয়, তবে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তিসঙ্গতভাবেই বিষয়টির ইতি ঘটেছে বলে ধরে নেবেন।

উল্লেখ্য, দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে পাঠানো নোটিশটির অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে পাঠানো হয়।