নিউজ ডেক্স ২৫ মে ২০২৪ ০৩:২৬ পি.এম
মানুষের শরীরে কাজ করছে না অ্যান্টি-বায়োটিক। ফলে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আইসিইউতে ৮০ ভাগ রোগীর মৃত্যুর কারণ অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে কাজ না করা। শুধু আইসিইউ, সিসিইউর রোগীরাই নয়, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষের শরীরেই এখন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে জীবাণু।
এবার সেই সতর্কবার্তারই পুনর্ব্যক্ত করা হলো একটি ভারতীয় গবেষণাপত্রে। কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, দ্রুতগতিতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ— সাউথইস্ট এশিয়া’ নামক জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, এমনিতেই নতুন ওষুধের অভাব, তার মধ্যে পুরোনো অ্যান্টিবায়োটিকগুলি আর কাজ দিচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা খাতে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছে।
ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর এএমআর সার্ভেল্যান্স নেটওয়ার্কভুক্ত ২১টি কেন্দ্র থেকে মোট ৬ বছরের তথ্য সংগ্রহ করে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ করে না, সেই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’। এতে রোগীর সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকে, এমনটি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
‘ইমার্জিং ট্রেন্ডস ইন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ইন ব্লাডস্ট্রিম ইনফেকশনস: মাল্টিসেন্ট্রিক লংগিচুডিনাল স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (২০১৭-২০২২)’ শীর্ষক গবেষণাটি করেছেন আইআইটি দিল্লি ও আইসিএমআরের গবেষকরা।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রায় অতিমারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এএমআর, ফলে সমগ্র বিশ্বই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। রোগীদের রক্তের সংক্রমণে কীভাবে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে গবেষণায়। গবেষণাটির একটাই উদ্দেশ্য, তা হলো- চিকিৎসার কৌশল সন্ধান।
গবেষণাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইিপেনেম ও মেরোপেনেম জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে মাসে মাসে এএমআর বাড়ছে। ক্লেবসিয়েল্লা, ই কোলাই, অ্যাসিনেটোব্যাকটরের মতো ব্যাকটেরিয়ার রক্তে সংক্রমণ ঘটলে, তার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ওই দুটি ওষুধ। ক্লেবসিয়েল্লা ও অ্যাসিনোব্যাকটর ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণে দেখা গেছে, হাসপাতাল থেকে রোগী সংক্রমিত হলে, তাতে এএমআর আরও বেশি হচ্ছে। আবার ই কোলাই এবং ক্লেবসিয়েল্লা, এই দুই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত ওষুধ সেফালোস্পোরিনস ও ফ্লোরোকুইনোলোনস আর কাজ করছে না।
গবেষণাটিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৪.৯৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছিল এএমআর-এ। এভাবে চললে ২০৫০ সালে প্রতি বছর অন্তত ১ কোটি মানুষ মারা যাবেন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলো।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এএমআরের কারণে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) ধাক্কা খাবে। যার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পৌঁছবে।
নবীন নিউজ/জেড
৫ বছরের জন্য স্থগিত ডা. স্বপ্নীলের চিকিৎসা সনদ
দেশে আরও ২৪৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডা. সায়েদুর রহমান
করোনার নতুন ধরন শনাক্ত, স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ
ফিরতি যাত্রায় রেলে চড়তে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক পরে
দেশে করোনায় আরেকজনের মৃত্যু হলো
আবারো করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৪
এখনও বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল
এবার যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের ‘নতুন রূপ’ শনাক্ত
এশিয়ায় মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার নতুন রূপ
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯ জন
দেশের সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, মিলবে কম দামে ওষুধ
যক্ষ্মার নতুন ঝুঁকিতে দেশ
খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান শনাক্তে কঠোর নীতিমালার আহ্বান
অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান
‘নতুন মহামারির’ হানা যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুহার ৩৯ শতাংশ
বন্ধ হতে পারে সরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ
বকশিশ না দেওয়ায় অক্সিজেন বন্ধ, নবজাতকের মৃত্যু
২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
বরুণ ফুলের ঔষধি গুণ—প্রাকৃতিক চিকিৎসার এক বিস্ময়
স্বাস্থ্য ক্যাডারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু
অব্যবস্থাপনা ও লুটপাটে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে: ডা. ফরহাদ হালিম
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত
দেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ সোমবার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত, মহামারির শঙ্কা
শোল্ডার সার্জারির উন্নয়নে বাংলাদেশে বিশেষ কর্মশালা
ফিরে দেখা: ‘ভারতে মেয়েদের জন্য ৬ মাসের মধ্যে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন’
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ঢাকার বাতাস, জানালা বন্ধের পরামর্শ!
অস্বচ্ছল চক্ষু রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান