২ মাস ধরে বন্ধ চবির শিক্ষা কার্যক্রম : সেশনজটের শঙ্কা শিক্ষার্থীদের 

চবি প্রতিনিধি : চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

 গত ৫ আগষ্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সহয়তা করার অভিযোগে  আওয়ামীপন্থী  উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টোরিয়াল বডিসহ সব হল প্রভোস্টদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ১০, ১২, ১৩ আগষ্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা ) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী এবং প্রক্টরিয়াল বডিসহ সব হলের প্রভোস্টবৃন্দ।

প্রশাসনিক পদগুলো শূন্য থাকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নানা কথা ওঠলেও প্রায় ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, তবুও উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। ফলে বন্ধ হয়ে আছে ক্লাস, পরীক্ষাসহ নানা শিক্ষা কার্যক্রম।   তা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আশঙ্কা করছেন ভয়াবহ সেশন জটের।

এ বিষয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন বায়েজিদ হাসান অভি বলেন , ' দীর্ঘ দুই মাসের চলমান আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে অনেক বিভাগেরই পরীক্ষার ডেট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, এতে করে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।' 

আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রামিসা নাওয়াল নাবিলা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার এর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেখানে সবকিছুকেই স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চলছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কেন? দ্রুত সময়ের মধ্যে  বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ, একাডেমিক এবং প্রসাশনিক কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে স্বাভাবিক করা উচিত। '

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে কে. এম. নুর আহমদ বলেন , ' ক্যাম্পাসে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ  গুরুত্বপূর্ণ  দায়িত্বশীল কেউই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে হলে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন যেটি ভিসি ছাড়া সম্ভব না। ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস সচল করা অসম্ভব। আংশিকভাবে প্রশাসনিক কাজ চললেও ব্যহত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ।'