মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়

কেবি ২৮ অক্টোবার ২০২৪ ১০:৩৬ এ.এম

আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকেরা। এ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই লেখায়। খবর: ডয়েচে ভেলের।

কারা প্রার্থী হতে পারেন
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রার্থীদের যোগ্যতা
ইলিনয় স্টেটের ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন স্টেগার ডয়চে ভেলেকে বলেন, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই। স্টেগার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রকৃতপক্ষে আলাদা বিধান রয়েছে। যাতে রাজনৈতিক বন্দীরা প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে এই ধারার প্রভাবের সম্ভাবনা তেমন দেখছেন না স্টেগার।

প্রাইমারি ও ককাস কী?
নির্বাচনে লড়াইয়ে উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাঁকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্র হন। সেখানে তাঁরা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন। অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা
অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

চলতি বছরের জুলাইতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। 

নির্বাচনে কী ঘটে
নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোট গ্রহণ চলে। জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

ইলেকটোরাল কলেজ
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ইলেকটোরাল কলেজ নামের ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই শেষমেশ নির্ধারণ করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপর দিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ ও সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। 

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ইরানের হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন: কাতার

news image

লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টি শেরিফের 'ইউ টার্ন'

news image

সিচুয়েশন রুমে অবস্থান করছেন ট্রাম্প

news image

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

news image

ইরানের ছয় বিমানবন্দরে ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা

news image

ইরানে গুপ্তচরদের স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট দিতে অনুরোধ ট্রাম্প দূতের

news image

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরানের পার্লামেন্টে হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন

news image

'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার' নামে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

news image

নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে সমর্থনের একদিন পরেই পাকিস্তানের নিন্দা

news image

ইরানে হামলার পর মার্কিন রণতরীতে হামলার হুমকি হুথি বিদ্রোহীদের

news image

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার ঘোষণা ইরানের

news image

ইরানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান

news image

ইরানে মার্কিন হামলা চরম অসংবিধানিক: সিনেটর

news image

শেষ পর্যন্ত ইরানে যুদ্ধে জড়ালোই যুক্তরাষ্ট্র

news image

ইরানের ৮ প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

news image

ইসরায়েল 'পুরোপুরি গুন্ডামি' করছে ইরানে: এরদোয়ান

news image

নেতানিয়াহু সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ বিল ক্লিনটনের

news image

ইসরায়েলের বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দাবি ইরানের

news image

এবার নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য দাবি ট্রাম্পের

news image

ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটে ৬০ ঘণ্টা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান

news image

আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল : জাতিসংঘে ইরাক

news image

ইসরায়েলের আগ্রাসন: ইরাক ও ইয়েমেনে গগনবিদারী স্লোগান, ইরানেও বিক্ষোভ

news image

ইসরায়েল 'নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধ' করেছে, জাতিসংঘে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

news image

বিনা কারণে ইরানে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল: রাশিয়া

news image

ইরানে কারাবন্দি চার নারী অধিকারকর্মীর খোলা চিঠি

news image

বেঁচে আছেন আলী শামখানি

news image

আইআরজিসি'র কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর খামেনির

news image

পারমাণবিক কর্মসূচি: এবার পাকিস্তানকে হুমকি ইসরায়েলি নেতার

news image

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দিন: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

news image

ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে সংযত থাকার আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর