শনিবার ০৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়

কেবি ২৮ অক্টোবার ২০২৪ ১০:৩৬ এ.এম

আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকেরা। এ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই লেখায়। খবর: ডয়েচে ভেলের।

কারা প্রার্থী হতে পারেন
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রার্থীদের যোগ্যতা
ইলিনয় স্টেটের ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন স্টেগার ডয়চে ভেলেকে বলেন, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই। স্টেগার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রকৃতপক্ষে আলাদা বিধান রয়েছে। যাতে রাজনৈতিক বন্দীরা প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে এই ধারার প্রভাবের সম্ভাবনা তেমন দেখছেন না স্টেগার।

প্রাইমারি ও ককাস কী?
নির্বাচনে লড়াইয়ে উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাঁকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্র হন। সেখানে তাঁরা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন। অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা
অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

চলতি বছরের জুলাইতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। 

নির্বাচনে কী ঘটে
নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোট গ্রহণ চলে। জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

ইলেকটোরাল কলেজ
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ইলেকটোরাল কলেজ নামের ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই শেষমেশ নির্ধারণ করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপর দিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ ও সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। 

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার হুথির

news image

ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়া জাহাজে বোমা হামলা

news image

শাহবাজ ও জয়শঙ্করকে যে বার্তা দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

news image

ভারতের আকাশসীমায় চলবে না পাকিস্তানি বিমান

news image

এবার পোপ হতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!

news image

কলকাতায় হোটেলে আগুন, প্রাণ গেলো ১৪ জনের

news image

পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৯

news image

গুলি করে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান

news image

ইরানে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ৭০, আহত ১২০০

news image

পেহেলগামে হামলা ঘিরে কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভাঙা হচ্ছে বাড়ি

news image

পরপর ৪ রাত ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি

news image

ইরানে বন্দর বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৫, আহত ৮ শতাধিক

news image

ইরানে বন্দরে বিস্ফোরণ: নিহত অন্তত ৪, আহত পাঁচশ’র বেশি

news image

ইরানে বন্দরে বিস্ফোরণ, ব্যাপক প্রাণহানির শঙ্কা

news image

ভারতকে কঠোর বার্তা দিল পাকিস্তান

news image

লাখো অনুসারীর সমবেত প্রার্থনায় অনন্ত যাত্রায় পোপ ফ্রান্সিস

news image

পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত হলে সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্ত ​বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো

news image

ফের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি

news image

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইরানের

news image

পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

news image

গাজায় এখন পর্যন্ত ৫১৩৫৫ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত ১১৭২৪৮

news image

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি

news image

বাংলাদেশকে দেওয়া সহায়তা নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রশ্ন

news image

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরির হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

news image

কাশ্মীরে হামলা: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ৫ পদক্ষেপ

news image

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত

news image

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পোপ ফ্রান্সিস

news image

যুক্তরাষ্ট্রে ফের ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

news image

ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৮০

news image

ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে দু'জন নিহত