দৃষ্টি এখন বিএনপির বর্ধিত সভায়

এনএস রিপোর্ট
৭ বছর পর বিএনপির বর্ধিত সভাকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের মাঝে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। সরকার এবং দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দৃষ্টি এখন এই সভায়। সভা থেকে কি নির্দেশনা আসে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। আর আগামী নির্বাচন, সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে কি অবস্থান নেবে বিএনপি- তার পর্যালোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল এবং মাঠ প্রাঙ্গণে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে রাজধানীর লা-মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যেতে হয় বেগম খালেদা জিয়াকে।

ইতোমধ্যে সভার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নপ্রায়। সভায় উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা। সভায় লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থাকার কারণে তিনিও সভায় অংশ নিয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।

জানা গেছে, বিএনপির এই বর্ধিত সভায় দলের সব স্তরের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া আগামী নির্বাচন, ওই নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান কি হওয়া উচিত, সংস্কার, সরকারের অবস্থান, রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে করণীয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও করণীয়, বৈষম্যরিরোধীদের দলগঠন ইস্যু, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে নেতা-কর্মীদের মতামত জানার চেষ্টা করা হতে পারে। সভায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন কাদের ভাগ্যে জুটতে পারে তেমন একটি আভাষও দিতে পারেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আরও জানা গেছে, এই সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সব সম্পাদক ও সদস্য, মহানগর ও জেলার সব থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, এই সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং যারা মনোনয়নের জন্য প্রাথমিক চিঠি পেয়েছিলেন তারাও উপস্থিত থাকবেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সভায় অবশ্যই আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন করে দিক নির্দেশনা দেবেন।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ‘বর্ধিত সভায় দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি এবং দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।’