MA ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৩ এ.এম
এনএস ডেস্ক
গ্রামের মানুষের কাছে অতি পরিচিত হলো গিমা শাক। এ শাককে ডিমা শাক, গিমে শাক ও জিমা শাক নামেও চেনেন অনেকে। এ শাক সাধারণত হাট-বাজারে কম পাওয়া যায়। তবে যারা এই শাকের গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন, তারা এর খোঁজ-খবর রাখেন এবং সময়মতো সংগ্রহ করে খেতে ভুল করেন না। এই শাকের পাতা ও গুল্ম ছোট হলেও রয়েছে অনেক শক্তিশালী উপাদান।
প্রতি ১০০ গাম গিমা শাকে রয়েছে ২২ কিলোক্যালরি, ১.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৬২ গ্রাম ফ্যাট, ৮ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ২,২৯ গ্রাম প্রোটিন, ৭৯৬ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিনয়েডস, ৭.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এছাড়াও ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ ও ভিটামিন ই রয়েছে গিমা বা ডিমা শাকে। এছাড়া এই শাকে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, গিমা শাকে থাকা মিথানল এক্সস্ট্রাকট লিভারের সুরক্ষায় কাজ করে। জানা গেছে, এই শাক এসজিপিটি, এসজিওটি, টোট্যাল বিলিরুবিন, ডাইরেক্ট বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।
কিছু গবেষণা বলছে, গিমা শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এই শাক ক্যান্সার ও লিভার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এই শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি-র্যাডিকেলস তৈরি হতে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য
ব্যাধি দূরে থাকে। এর জলীয় উপাদান ও মিথানল এক্সট্রাক্ট ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর লিপিড প্রোফাইল স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
গিমা শাক রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীরে নানা কারণে যেসব ছত্রাকের জন্ম হয়, সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে গিমা শাক বা ডিমা শাক। আজকাল ম্যালেরিয়ার দেখা সেভাবে পাওয়া না গেলেও একসময় ম্যালেরিয়া রোগীদের গিমা শাক খাওয়ানো হতো। এই শাককে প্রাকৃতিক কৃমিনাশক বলা হয়।
শরীরের নানা ধরণের ব্যাথা নিরাময়ে গিমা বা ডিমা শাক খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। শরীরের কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে গিমা শাক বা ডিমা শাক। এছাড়া সাধারণ জ¦র-সর্দি-কাশি প্রতিরোধে গিমা শাক ভালো ফল দেয়। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া রক্তবর্ধক হিসেবে গিমা শাকের জুড়ি মেলা ভার। মুখে অরুচি? কিছু খেতে ভালো লাগছে না? খেয়ে দেখুন গিমা বা ডিমা শাক। দেখবেন খুব ভালো লাগছে আপনার।
সাধারণত ডিমা শাক বা গিমা শাকের বড় ধরণের কোনও অপকারিতা নেই। তবে শরীরের অন্য কোনো সমস্যার জন্য এই শাক খেলে বমি ভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এবং গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়েরা গিমা শাক খেলে সমস্যা হতে পারে। তাই না খাওয়াই ভালো।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি