রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য

মে.হো ১১ মার্চ ২০২৫ ১০:০৫ এ.এম

ছবি : সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক

রোজা শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম নয়; বরং এটি আত্মসংযমের অনুশীলন, তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি সুযোগ। রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকা এবং সংযমী জীবনযাপন করা।

রোজা ও সত্যিকারের সংযম:

অনেকেই মনে করেন, দিনের নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকাই রোজা। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে রোজা হলো মনের পরিশুদ্ধি, খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা এবং নৈতিক উন্নতির মাধ্যম। নবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, প্রতারণা ও অন্যায় আচরণ ত্যাগ করে না, তার পানাহার ত্যাগ করার কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০৩)

রোজাদারের জন্য করণীয়:

রোজা শুধু শরীরের নয়, মন ও আচরণেরও সংযম। একজন প্রকৃত রোজাদারকে অবশ্যই—

১. মিথ্যা ও অনর্থক কথা পরিত্যাগ করতে হবে।

2. অন্যায় ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

3. অজ্ঞতা ও অবিচার এড়িয়ে চলতে হবে।

রোজার শিক্ষা: আত্মশুদ্ধি ও নৈতিক উন্নতি:

রোজা হলো এমন একটি প্রশিক্ষণ, যা একজন মুসলিমকে সংযমী হতে শেখায়, আল্লাহর আনুগত্যে পরিচালিত করে এবং পাপ থেকে দূরে রাখে। কোরআনে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৩)

রোজার উদ্দেশ্য কেবল ক্ষুধা-পিপাসা সহ্য করা নয়:

রোজার প্রকৃত লক্ষ্য হলো আল্লাহর বিধান মেনে চলা, নিজের নৈতিক চরিত্র উন্নত করা এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। তাই শুধু উপবাস নয়, বরং সত্যিকারের সংযম ও সৎ জীবনযাপনই রোজার মূল শিক্ষা।

রোজা তাকওয়া বিরত