শনিবার অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে নগর ভবন ছেড়েছেন ইশরাক সমর্থকরা

এনএস রিপোর্ট 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা হোসেনকে বসানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মসূচি পালন শেষে নগর ভবন ছেড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে তারা নগর ভবন ও আশেপাশের এলাকায়  অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করে ফিরে যান। 

এ দিন বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিভিন্ন গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ফলে সকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ ছিল। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন অফিসে ঢুকতে পারেননি, তেমনি অনেক সেবা প্রার্থী ফিরে যেতে দেখা গেছে।

বুধবার (১৪ মে) এ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন  অনুসারীরা। সেখানেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তারা একই কর্মসূচি পালন করবেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েক ঘন্টা কর্মসূচি পালন করেন ইশরাক অনুসারীরা। এরপর বেলা দেড়টা নাগাদ শনিবার (১৭ মে) অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবন ছেড়ে যান। 

এর আগে সকাল থেকে  ডিএসসিসি ভবন বা নগর ভবন ও আশেপাশের এলাকায় ইশরাক সমর্থক বিক্ষোভকারীদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। ভবনটির সামনের অংশ, প্রতিটি ফটকের মুখ, সিঁড়িপথ, গাছতলা, এমনকি সামনের সড়ক ছিল বিক্ষোভকারীদের দখলে। আর এসব স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসেছিলেন  ডিএসসিসিতে কর্মরতরা। গেটে তালা থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের কেউ ভবনে ঢুকতে পারেননি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) এক কর্মকর্তা জানান, অফিস শুরুর আগেই ইশরাক অনুসারীরা নগর ভবনের বিভিন্ন গেটে  তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে কর্মরতদের কেউ অফিসে ঢুকতে পারেননি। সেবা প্রার্থী বহু লোক ফিরে গেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে ইশরাক অনুসারীরা নগর ভবনের সামনে সড়কে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা দল বেঁধে ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেন এবং বিভিন্ন গেটে তালা লাগিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীরা এ কর্মসূচির নাম দেন 'ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ'। কর্মসূচির আয়োজক হিসেবে 'নগরবাসী' উল্লেখ করা হয়েছে। 

এদিকে 'নগরবাসী'র উদ্যোগে গঠিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইশরাক অনুসারীরা বলেছেন, ২০২০ সালে তারা ভোট দিয়ে ইশরাককে মেয়র পদে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু ফল জালিয়াতি করে তাকে পরাজিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে তিনি মেয়র পদ ফিরে পেলেও নানান টালবাহানা করে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। শপথ পড়াচ্ছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সে কারণে তাদের এই বিক্ষোভ।