M.A. ২৫ মে ২০২৫ ১১:৪৬ পি.এম
বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ)
আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জের খামারিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কুরবানীর পশুর শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় দিন কাটছে জেলার ১৩ উপজেলার খামারের কর্মচারী-মালিকদের। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ব্যস্ততা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া।
এবার এ জেলায় কুরবানীর জন্য প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খামারগুলোতে ছোট-বড় সব আকারের পশুই রয়েছে। দেশি জাতের গরু ছাড়াও রয়েছে ফ্রিজিয়ান, শাহী ওয়াল, ব্রাহামা, ইন্ডিয়ান বোল্ডারের মতো বড় জাতের গরু। এছাড়া মহিষ, বলদ ও গয়াল। প্রাকৃতিকভাবে ঘাস, খড় কুটা, ভুসি খাইয়ে বড় করায় খামারে এসব গরুর চাহিদা অনেক। বাজারে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ক্ষতিকর হরমোন কিংবা ইনজেকশনের ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালন করা হয়েছে। ভারতীয় গরুর ওপর নির্ভর না করে নিজেদের দেশীয় গরুতেই কুরবানীর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন খামারিরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৩টি উপজেলায় কুরবানীযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি। এর মধ্যে চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯১১টি। এসব পশুর মধ্যে জেলার চাহিদা পূরণ করেও অতিরিক্ত ৩২ হাজার ৪৫৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এই উদ্বৃত্ত পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোহেবে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে। জেলায় ৭০ হাজার ৭১টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৬টি বলদ, ১৮ হাজার ৫৫৯টি গাভি, ১ হাজার ২৮৮টি মহিষ, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬টি ছাগল, ৫ হাজার ৫১৬টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৩টি কুরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে ১১৬টি গরুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরে ১২টি, করিমগঞ্জ ১২টি, তাড়াইল ৭টি, হোসেনপুর ৭টি, পাকুন্দিয়া ১০টি, কুলিয়ারচর ৭টি, কটিয়াদী ১০টি, ভৈরব ৮টি, নিকলী ৭টি, বাজিতপুর ১২টি, মিঠামইন ৭টি, ইটনা ৯টি ও অষ্টগ্রাম ৮টি। এ ছাড়াও এখানকার সব বাড়িতেই দুই একটি করে কুরবানির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে।
প্রতি বছর গরু পালন করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন এখানকার অনেকেই। শুধু কুরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে বিগত এক দশকে গরু লালন-পালন ও কেনা-বেচা করছেন হাজার হাজার মানুষ। সব খামারেই কোনো প্রকার ক্ষতিকারক ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। অল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে কেউ যেন বিষাক্ত মেডিসিন ব্যবহার না করে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। কুরবানীর ঈদের পশুর চাহিদা মিটিয়েও খামারীরা জেলার বাইরে বিক্রি করবে।
এছাড়া জেলায় কুরবানীর পশু বিক্রির জন্য মোট ৬৩টি গরুর হাট রয়েছে। প্রতি হাটে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ৪০টি ভেটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করবে। প্রতিটা হাটে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে খামারিরা পশু বিক্রি করে নিরাপদভাবে তাদের বিক্রিয়কৃত টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।
খামারি জুনায়েদ আশরাফ সানি বলেন, তার খামারে ৬০টি কুরবানী উপযোগী গরু রয়েছে। সেগুলোর দাম ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখের মধ্যে। কুরবানীর জন্য প্রস্তুতকৃত গরুপ্রতি প্রতিদিন আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন দেশীয় জাতের এই গরুগুলোর খাদ্য তালিকায় রয়েছে খৈল, ভুষি, খড়, সবুজ ঘাস, ভুট্টা গাছের সাইলেন্সার, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ স্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিষুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে গরু বড় করে বিক্রি করি। আশা করছি বাহির থেকে কোনো গরু আনা হবে না। দেশীয় গরুর মাধ্যমে চাহিদা মেটানো সম্ভব। খামার থেকেই গরুগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপারি ও সাধারণ মানুষ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।’
করিমগঞ্জ উপজেলার সিদলার পাড় গ্রামের ইয়াসিন এগ্রো ফার্মের মালিক সুমন মিয়া জানান, ‘আমরা পরিবার থেকেই গরু লালন করি। কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। সকাল-বিকাল নিয়ম করে খাবার দেই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। গরু ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এখন ঈদের বাজারে তুলব, ভালো দাম পেলে পরের বছর আরেকটু বড় খামার করার চিন্তা করছি। তবে গোখাদ্যের দাম ও কাজের লোকের হাজিরা, সব মিলে একটি গরুর পেছনে যে ব্যয় হয় তা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে। আমার খামারে ১ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে।’
ডা. সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত আরও জানান, প্রাকৃতিক উপায়ে খড়, ঘাস, খৈল, চালের কুড়া ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। প্রস্তুত করা প্রাণী সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন, জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। ওষুধের অপব্যবহার, রাসায়নিক খাবার বর্জনের ব্যাপারে খামারিদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছেন তারা। পাশাপাশি, রোগাক্রান্ত প্রাণী কিংবা কোরবানির অনুপযোগী প্রাণী কেনাবেচা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা ভিত্তিক একটি করে ভেটেনারী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রত্যেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
নাসিরনগরে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ৩১
কুমিল্লা কারাগারে মারা গেলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমবে না আগামী ৫ দিন
ঘোড়াউত্রা নদীর পানি বৃদ্ধি, ফেরিতে আটকা যানবাহন
বরিশাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট: ৪৬ ঘন্টা পর লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক
মেঘনার স্রোতে ভাসছে গবাদিপশুর মৃতদেহ
সেন্টমার্টিনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানির নিচে, খাদ্য সংকট
টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী নৌকায় আগুন
চোখ বেঁধে ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিলো বিএসএফ
বৈরী আবহাওয়া: চট্টগ্রাম নামতে না পেরে ঢাকায় ফিরে এলো বিমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কাপ্তাই হ্রদে নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা
সেনাবাহিনীর হাতে আটক এনসিপি নেতা তরিকুল
মিঠামইনে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে নিরাপত্তা কর্মশালা
আখাউড়ায় ভুয়া সেনা কর্মকর্তা আটক
৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া লঞ্চ চলাচল বন্ধ
সকাল থেকেই সারাদেশে বৃষ্টি, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
আসছে শক্তিশালী মৌসুমী বৃষ্টিবলয় 'ঝুমুল'
সরাইলে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসেছে গরুর হাট
দেশের ১৩ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে রাত ১টার মধ্যে
কিশোরগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২ লাখ ১৩ হাজার পশু
রায়পুরায় পালিত হল ভূমি মেলা ২০২৫
কসবায় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী আহত
দিনাজপুরে ১৮ ঘণ্টায় ৮ মৃত্যু
আধিপত্য: ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে রাত ১টার মধ্যে