শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

এনএস রিপোর্ট
একজন মানুষ। একাধিক পরিচয় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। আজীবন দেশদরদী থেকে মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদনই যেন ছিল তার অভীষ্ট লক্ষ্য। দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশ গড়ার লড়াইয়ে তিনি ছিলেন আপসহীন। দেশ আর মানুষকে নিয়ে ভাবা ক্ষণজন্মা সেই ব্যক্তিটি নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

বলছি বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার ঘোষক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের কথা। যিনি বারবার দেশমাতৃকার প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিজের সবটুকু উজাড় করে যিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, সেই মহান মানুষটির ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ শুক্রবার (৩০ মে)।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন। ওই বছরের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। পরদিন ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অবস্থানকালে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য গভীর রাতে তাকে হত্যা করে গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় আনা হয়। পরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে সমাহিত করা হয় এই মহান রাষ্ট্রনায়ককে।

সেই থেকে প্রতি বছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। এ বছর বিএনপি শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালন করছে। গত ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে আগামী ২ জুন পর্যন্ত। 

কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আলোচনা সভা করেছে বিএনপি। সভায় বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ নেতা ও বিশিষ্টজন।

এছাড়াও আটদিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা, কালো পতাকা উত্তোলন, পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জিয়ার মাজারে ফুল দেওয়া ও ফাতেহা পাঠ এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ।

এদিকে, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনসহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

নেতাকর্মীরা ধারণ করবেন কালো ব্যাজ। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারেফেুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এ সময় দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। 

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, শিল্প উন্নয়ন, সবুজ বিপ্লব, যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়।