১০০ কোটি টাকায় প্রকল্প গড়ে তুলেন যুক্তরাজ্যের প্রবাসী

সিলেটের ওসমানী নগরীর যুক্তরাজ্যের প্রবাসী ইব্রাহিম আলী লালু। ১৯৮১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে  পাড়ি জমান এই প্রবাসী। সে দেশটিতে রয়েছে তার  তিনটি ক্যাটারিং ইকুয়েপমেন্ট সাপ্লাইয়ের  ব্যবসায়। কিন্তু এত কিছু থাকার পরও নিজ দেশের টানে বাংলাদেশে এসে কৃষি উদ্দ্যোগ গড়ে তিনি। তার প্রবাসে আয় করা সকল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন ফর্মালিন বা  বিষমুক্ত পুষ্টিকর খাবার  উৎপাদন ও বিপণনের জন্য।

প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি  প্রকল্প গড়ে তুলেছেন এ প্রকল্পে রয়েছে বিষমুক্ত শাকসবজি, ফল, মাছ ,গরুর মাংস সহ বিভিন্ন ফলফলাদি। স্থানীয়দের জন্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাথে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও  করেছেন তিনি ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে শাকসবজির চাষাবাদ শুরু করেন লালু। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫একর  জমিতে এই বিশাল প্রকল্প গড়ে তুলেছেন তিনি। এ প্রকল্পে রয়েছে নানা জাতের শাকসবজি,  মাছ, মাংস এবং নানার প্রকারের ফলের বাগানসহ আরো অনেক ধরনের গাছ।

তিনি জানান,দেশের টানে বিদেশ থেকে আসার পর ,নিজ উদ্যোগে একটার পর একটা প্রকল্প শুরু করেছেন।  এই প্রকল্প পাওয়া যায় সুলভ মূল্যে সব প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। এ সবের পিছনে তার উদ্দেশ্য হলো, বাজারের ফর্মালিনযুক্ত  মাছ, মাংস, সবজির চেয়ে, তার প্রকল্প থেকে ফর্মালিন বা বিষমুক্ত সবজি,মাছ মাংস ক্রয় করে সুস্থ থাকা এবং দেশের জনগণ ও অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা।

স্থানীয়রা জানান , তারা বাজারে তুলনায় খুব অল্প দামে এখান থেকে টাটকা শাকসবজি,মাছ ,মাংসসহ বিভিন্ন ফল ক্রয় করতে পারেন।

তবে প্রবাসী লালু এতো বড় প্রকল্প হাতে নিলেও সরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা ও পরামর্শ পাননি বলে অভিযোগ করেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা ।তারা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাননি ,তবে সাহায্য পেলে হয়তো তাদের কৃষিকর্ম আরও ভালো হতো।

তার এই উদ্যোক্তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা ।

সিলেটের বড় একটি অংশ প্রবাসী। এসব  প্রবাসীদের নিজ নিজ এলাকায় বিনিয়োগ  করার আহ্বান জানান বিশিষ্টজনেরা।