কুরবানিতে বাড়তে পারে পশুর দাম

বছর ঘুরে আবার আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মাসখানেক বাদে চাঁদ দেখা সাপেক্ষ পালিত হবে কোরবানির ঈদ। রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিবারের মতো বসবে কুরবানির পশুর হাট।

ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে হাট ইজারা প্রক্রিয়া। তবে এবার কুরবানির পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই বলে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।

রবিবার (২৮ এপ্রিল ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, এ বছর দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদি পশু লালন-পালন করা হয়েছে। ফলে এ বছর কুরবানির পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই সরকারের।

জানা গেছে, চলতি বছর কুরবানির জন্য ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশু রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় বেশি। এ কারণে এবার কুরবানির পশু আমদানির প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে, গত বছর ঈদুল আজহায় পশু কুরবানি হয়েছে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। যেখানে ২০২৩ সালে সারাদেশে কুরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে ধানের কুড়া, গমের ভুসি, সয়াবিনের খৈলসহ সব ধরনের গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খামারিরা জানিয়েছেন, গত চার মাসে কেজিপ্রতি গমের ভুসিতে ৮ টাকা, দানাদার ফিডে ৮-৯ টাকা, চালের খুদে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে পশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে খামারের গরুর চিকিৎসা ব্যয় ছাড়াও বিদ্যুতের দামও বেড়েছে।

গত দুই বছরের হিসেবে, ধানের কুড়া বস্তাপ্রতি (৪০ কেজি) ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গমের ভুসি বস্তাপ্রতি (৩৭ কেজি) ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই বছর আগে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

একইভাবে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে বুটের ভুসি, ফ্যাটেনিং ফিড, সয়াবিনের খৈল ও গমের দাম। বর্তমানে বুটের ভুসি বস্তাপ্রতি (২৫ কেজি) ১ হাজার ৬০০ টাকা, ফ্যাটেনিং ফিড ১ হাজার ৩০০ টাকা, সয়াবিনের খৈল ৪ হাজার টাকা এবং গম বস্তাপ্রতি (৫০) ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই অবস্থায় খামারিদের ভাষ্য, যেহেতু সাম্প্রতি সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাসে অন্তত ১০টা বৃদ্ধি পেয়েছে গো খাদ্যের দামও। ফলে গোখাদ্যের বর্তমান দরসহ নানা কারণেই এ বছর কুরবানির পশুর দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।

নবীন নিউজ/জেড