কেবি ২৫ আগষ্ট ২০২৪ ০৩:১৬ পি.এম
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা দমন-পীড়নের সাত বছর আজ। দিনটিকে রোহিঙ্গারা কালো দিবস আখ্যা দিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। এ উপলক্ষে আজ রবিবার সকালে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের ফোর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খেলা মাঠে ‘হোফ ইজ হোম’ ব্যানারে বিশাল এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাম্পে থেকে কিশোর-কিশোরীসহ প্রায় অর্ধলাখ মানুষ সমাবেশে অংশ নেয়।
সরেজমিনে কুতুপালংয়ে ফোর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, ‘প্রবল বৃষ্টিতে 'হোম ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আশপাশের ক্যাম্প থেকে সকাল থেকে লোকজন খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্যাম্পেইন সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেন। এবার আরকা আর্মিসহ জান্তা সরকারে বিচার চেয়ে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলেন।
রোহিঙ্গা ঢলের সাত বছরে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবসের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার আব্দুর রশিদ,
সৈয়দ উল্লাহ, মোহাম্মদ মুসা, মাস্টার কামাল প্রমুখ। সমাবেশের শুরুতে মিয়ানমার 'জেনোসাইডে' নিহত সকলের
সমাবেশে বক্তৃতায় সৈয়দ উল্লাহ বলেন,' মিয়ানমারের জান্তা সরকরের পর এবার ২০২৪ সালে এসে সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের 'জেনোসাইড' করছে আরকান আর্মি। আরকানের জমিতে আরকান আর্মি মে মাসে বুথেডংয়ে ২ হাজারের উপর মানুষ হত্যা করেছে। এছাড়া আগস্ট মাসে বোম হামলায় বহু মানুষ মেরে ফেলেছে। যার কারনে এখনো টেকনাফের নাফনদীতে রোহিঙ্গাদের মৃতদেহ ভাসছে। বর্তমান যোগে ছাত্রদের হাত ধরে দেশ বদলে যাচ্ছে। আমাদের ছাত্রদের আরকান আজাদী করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। '
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে সাত বছর পার হয়ে গেছে, কোন সমাধান হয়নি। আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলছি, আমরা সেফজোন ফেলে ফিরে যাব, নিজ দেশে।'
এদিকে সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির কোন সদস্যকে দেখা যায়নি। এমনকি অনুষ্ঠানে প্রত্যাবাসনে পক্ষ কাজ করা নিহত মাস্টার মুহিব উল্লাহকে স্বরণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক রোহিঙ্গা নেতা।
এ বিষয়ে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘ক্যাম্পে সাত বর উপলক্ষে আজকে 'গণহত্যা' দিবসে পালন করা হয়েছে। কিন্তু যেই এই দিনটি পালন করতে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তাঁর (মাস্টার মুহিব উল্লাহ) নাম পর্যন্ত স্বরণ করা হয়া না। এটট খুব দুঃখজনক।
এ রোহিঙ্গা নেতা বলেন, 'ইচ্ছার থাকার সত্ত্বেও নিরাপত্তার কারনে সেখানে (সমাবেশে) যাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টে 'জেনোসাইডের' কারনে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। তখন সেখানে আরও সড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা ছিল। কিন্তু এখন জান্তা সরকার এবং আরকান আর্মি মিলে ফের যুদ্ধের নামে সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করছে এখন। এটির শক্ত প্রমান রয়েছে। বোমা এবং ড্রোন হামলায় এখন রোহিঙ্গাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। '
তিনি বলেন, ' আমরা আর বাংলাদেশের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। আর টু পি দিয়ে 'সেফজোন' ফেলে আমরা এখনিই মিয়ানমারে ফিরে যাব। তবে আমাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানায়।’
ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণভাবে ‘রোহিঙ্গাদের জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। ক্যাম্পে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বৃষ্টির কারনে রোহিঙ্গারা দ্রুত কর্মসূচি শেষ করেছে। কর্মসূচিতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।'
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলের মংডু, বুচিথং ও রাসেথং জেলার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। সে সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। ওই দিনটিকে স্মরণে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ পালন করে আসছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্তি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামসু-দৌজা বলেন,' রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে 'জেনোসাইড ডে' পালন করেছে। শান্তি পূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। সেখানে তাঁরা নিজ দেশে ফিরে যেতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।'
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’র পাঁচ বছর পূর্তির উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের আশ্রিত ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১২, ১৩, ৮, ১৮,১৯, নম্বর ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় (রবিবার) একসঙ্গে পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেন। তাঁরা সেখানে মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।
নুরুল হুদাকে ধরার সময় যে মব জাস্টিস হয়েছে তা কাম্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অষ্টগ্রামে যৌথ অভিযানে মাদকসহ কারবারি আটক
ময়মনসিংহের দুই সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ
৮ অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে সন্ধ্যার মধ্যে
মিঠামইনে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব
এ যেন এক নির্মম নিয়তি!
৫ রাজাকারকে কোপানো সেই মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু
ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
অর্ধেকে নেমেছে চামড়ার দাম, বিপাকে কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
সন্ধ্যার মধ্যে ১৩ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
২৫ বছর পর অক্ষত লাশ মিললো কুড়িগ্রামে
আশুগঞ্জে সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে তলিয়ে গেছে পাথরবাহী বাল্কহেড
বিজয়নগরে মাদক কারবারি গ্রেপ্তার, সিএনজি জব্দ
নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হলো বান্দরবানে
হাওরের সৌন্দর্যে পর্যটকের পদভারে মুখর কিশোরগঞ্জ
শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ সমু চৌধুরী, রয়েছেন মাজারেই
প্রথম দিনেই এক ট্রলারে উঠে এলো ৪৩ মণ ইলিশ
কসবায় ঈদ পুনর্মিলনীতে বিএনপির ঐক্যের মহামিলন
চার ঘণ্টার মুক্তি পেয়ে মাকে শেষ বিদায় সাংবাদিক রুপার
বরগুনায় ডেঙ্গুতে একদিনে ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৭২ জন
আড়াইহাজার ও কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে ৪ কন্যাশিশুর মৃত্যু
বিজয়নগরে ১৫৭ বোতল সিরাপসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
চাঁদপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনীতে হামলায় ৬ জন আহত
সৈয়দপুরে প্রখর তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
চট্টগ্রামে আরও একজনের করোনা শনাক্ত
কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ব্যবসায়ী নিহত
বউ আনতে গিয়ে মাংস বিড়ম্বনায় বর খেলেন বেদম মার
সিলেটে রিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেলো নারী চিকিৎসকের
স্ত্রীকে স্মরণ করে কাঁদলেন কাদের সিদ্দিকী