অযথা সময়ক্ষেপণ নয়, চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

এনএস রিপোর্ট
অযথা সময়ক্ষেপণ করে সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই জানিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে।

তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র মেরামতের মৌলিক শর্ত পূরণ করতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে অতি জরুরি সংস্কারগুলো সেরে সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চলে যেতে চায়। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে কাঙ্খিত সংস্কার তিনভাবে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী। তবে সংবিধান সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় নেই। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার নির্বাচন পরবর্তী সরকার করবে। আশু করণীয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে মধ্যমেয়াদী সংস্কারগুলো।

আইন উপদেষ্টা জানান, সরকার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার নিয়ে আলোচনায় বসতে চান। দলগুলো চাইলে রোজার মধ্যেও আলোচনা চলবে বলে যোগ করেন তিনি। আশু করণীয়গুলো বাস্তবায়নে কতদিন সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে আইন ইপদেষ্টা বলেন, আশু করণীয় এরই মধ্যে কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ করা সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের কোনো কোনো প্রতিবেদনে আশু করণীয় ছয় মাসের মধ্যেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার মতে, আশু করণীয়র ক্ষেত্রে নির্বাচন ও সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কার নির্ভর করে ঐকমত্যের ওপর।

নির্বাচন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার আছে। আর নির্বাচনের সময়রেখা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার প্রেস সচিব বারবার পরিস্কার করেছেন যে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপিও একটি ঘোষণাপত্র (খসড়া) তৈরি করেছে। তারা বলেছে, সেটি তাদের জোটসঙ্গীদের দিয়েছে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে সেটি চূড়ান্ত হলে
ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বসবে। ছাত্রনেতারাও যথেষ্ট সংযম, ধৈর্য ও সহনশীরতার পরিচয় দিচ্ছেন। আশা করি এ প্রক্রিয়া বেগবান করার চেষ্টা করা হবে। তার মতে, এটি আইনী দলিল নয়, রাজনৈতিক দলিল, ঐক্যের দলিল। 

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।