মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
জাতীয়

শেখ হাসিনার শাসন ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন: ভবিষ্যৎ কোন পথে?

মে.হো ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:১৭ এ.এম

Newssign24 ছবি : সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, গত আগস্টের শেষ দিকে, যখন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে জুলাই ও আগস্টের সহিংস ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানান, তখন অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

 

অনেকের ধারণা ছিল, এটি হয়তো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে। কেউ কেউ পুরনো বাংলা প্রবাদ টেনে এনে বলেছিলেন, "খাল কেটে কুমির আনা হচ্ছে।" এমন আশঙ্কাও ছিল যে, জাতিসংঘ হয়তো একটি কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার মতো রিপোর্ট দেবে, যা অতীতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ঘটনায় দেখা গেছে। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূস তার অবস্থানে অটল ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরই সবচেয়ে যোগ্য সংস্থা।

 

বাংলাদেশের মানুষ জানত, ওই দুই মাসে কী ঘটেছিল, কারা সংঘাতের নির্দেশ দিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল, এবং সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা কতটা গভীর ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন ছিল, যাতে ইতিহাসে সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ না থাকে।

 

অবশেষে, জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে, যা বর্তমান নেতৃত্বের ভবিষ্যৎকে কঠিন করে তুলতে পারে। শফিকুল আলম তার পোস্টে লেখেন, "যদি আওয়ামী লীগ দল হিসেবে টিকে থাকতে চায়, তবে নেতৃত্ব পুনর্গঠন এবং অতীতের ভুল স্বীকার করা ছাড়া তাদের সামনে কোনো পথ খোলা নেই।"

 

তিনি আরও লেখেন, "১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের সময় তিনি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলনামূলকভাবে কম ছিল। ফলে সময়ের ব্যবধানে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়মিতভাবে নথিভুক্ত হচ্ছে।"

 

শেখ হাসিনার শাসনামলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে— নির্বাচনী কারচুপি, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন। এতদিন আন্তর্জাতিক মহলে তার ভূমিকাকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল, কারণ তিনি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদন তার অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছে।

 

শেষে, শফিকুল আলম তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, "সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছু বদলে যায়, কিন্তু সত্য চিরস্থায়ী। এখন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না!"

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে টিউলিপের উকিল নোটিশ

news image

এনবিআরে কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতি শুরু

news image

সাবেক সিইসিকে লাঞ্ছিত ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

news image

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজধানীর অনেক এলাকা

news image

পৃথক সচিবালয় হলে হস্তক্ষেপ মুক্ত হবে বিচার বিভাগ: প্রধান উপদেষ্টা

news image

পাশ হওয়া বাজেটে বিশেষ সুবিধা বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

news image

দেশে এক দিনে করোনায় পাঁচ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬ জন

news image

'জুতার মালা' দিয়ে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে পুলিশে সোপর্দ

news image

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর তিন সন্তানের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

news image

ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুই জনের মৃত্যু

news image

২৬ জুন শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা

news image

সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি

news image

৫ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

news image

বিটিভি বেতারের স্বায়ত্তশাসনে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

news image

৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালন করা হবে

news image

মহাখালী থেকে সরানো হচ্ছে বেনসন-গোল্ড লিফের কারখানা

news image

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

news image

এইচএসসি পরীক্ষা: কেন্দ্রে মানতে হবে ৭ নির্দেশনা

news image

নির্বাচনী আচরণবিধি ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে কমিশন সভা আজ

news image

বেরোবি'র সাবেক ২ উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

news image

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

news image

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে অধ্যাদেশ জারি, সুবিধা নিলে ২ বছরের দণ্ড

news image

আরও ১৫৮ বাংলাদেশী লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন

news image

ঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে রাতের মধ্যে ঝড় হতে পারে

news image

ভিসা কার্যক্রম পুনঃরায় চালু: অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস

news image

‘তেহরানে দূতাবাসের ৪০ বাংলাদেশীকে নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে’

news image

যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, তাই জ্বালানির দাম এখনই বাড়াচ্ছি না: অর্থ উপদেষ্টা

news image

বিলম্ব ফি দিয়ে এইচএসসির ফরম পূরণ করা যাবে ২ দিন

news image

৫ দেশে নতুন মিশন খুলবে বাংলাদেশ