ভারতের সঙ্গে থাকা চুক্তিগুলো পূনর্মূল্যায়ন দরকার: তারেক রহমান

এনএস ডেস্ক
উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণ থেকে বাঁচাতে লড়াইয়ের কোনও বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশের প্রাপ্য অধিকার, এটি কোনও করুণা বা দয়ার বিষয় নয়।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে ৪৮ ঘণ্টার ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির সমাপনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিস্তা নদী রক্ষার লড়াই শুধু তিস্তাপাড়ের মানুষের লড়াই নয়, এটি গোটা বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।’

নিজেদের ন্যায্য দাবির জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষকে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের অধিকার হওয়া সত্ত্বেও সেটি আদায়ের জন্য আজ আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের তিস্তাপাড়ের পানিবঞ্চিত মানুষ আজ সারাবিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় যে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিশ্চিত করা উচিত।’

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে থাকা চুক্তিগুলো পূণর্মূল্যায়ন চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার জোর করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে প্রতিবেশি দেশের সাথে যেসব চুক্তি সম্পাদন করেছে, সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী পতিত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন আমরা ভারতকে যা দিয়েছি ভারত কখনও ভুলবে না। আসলেই তাই, ৫ আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে সেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে প্রতিবেশি দেশটি তাকে মনে রেখে আশ্রয় দিয়েছে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আক্ষেপ করে বলেন, ‘আসলে আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসে না, তারা ভালোবাসে পতিত সরকার প্রধানকে। 

তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরের ৫ জেলায় বিএনপি ও মিত্র দলগুলো টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের ব্যানারে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাও’ স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে সেতু এলাকা থেকে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের উদ্দেশে পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা শেষে তিস্তা নদীতে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা।