সাংবাদিকের অভিযোগ মিথ্যা, হাসপাতাল বিতর্কে নতুন মোড়

এনএস ডেস্ক : সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, আমি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রূঢ় ভাষায় কথা বলেছি এবং তাদের হুমকি দিয়েছি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

ঘটনার মূল প্রেক্ষাপট হলো—একটি শিশুর চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয়, এবং তার পরিবারের কাছে হাসপাতাল ২,২০,০০০ টাকা বিল করে। পরিবার ১,০০,০০০ টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হলেও বাকি ১,২০,০০০ টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি।

নিহত শিশুর পরিবার আমাকে ফোনে বিষয়টি জানালে, আমি তাদের মোবাইল থেকেই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি, যদি সম্ভব হয়, বিলের কিছু অংশ মওকুফ করার জন্য। এটি পুরোপুরি তাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়, আমি কেবল মানবিক কারণে অনুরোধ করেছিলাম। তবে, হাসপাতালের একজন ডেপুটি ডিরেক্টর কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান এবং কথা বলতেও রাজি হননি।

কুমিল্লায় অবস্থান করার কারণে সরাসরি উপস্থিত হতে পারিনি, তাই আমার পরিচিত কয়েকজনকে হাসপাতালে গিয়ে পরিবারকে সহায়তা করার অনুরোধ করি। এ বিষয়টিকেই বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দাবি করা হচ্ছে, আমি নাকি হাসপাতাল ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছি!

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি কয়েকজন সাংবাদিককে বিষয়টি জানাই, যাতে তারা হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পারেন। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে যায় এবং তাদের বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরবর্তীতে, একজন ব্রিগেডিয়ার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, আমি তাকে একই কথা বলি—টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হাসপাতালের বিষয়, আমি শুধু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুরোধ করতে পারি। কিন্তু, হাসপাতালের অসহযোগিতামূলক আচরণ এবং পরিবারের অনুরোধ উপেক্ষা করা নিঃসন্দেহে অমানবিক।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কিছু গণমাধ্যমে যেভাবে বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোনো ধরনের সত্যতা যাচাই ছাড়া একপাক্ষিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী।

সত্য কখনো চাপা থাকে না। যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি আহ্বান—তথ্য যাচাই করে, বস্তুনিষ্ঠ ও নৈতিক সাংবাদিকতার চর্চা করুন।