শনিবার ০৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
জাতীয়

ওয়ান-ইলেভেনে হস্তক্ষেপ ভুল ছিল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

মে.হো ০৮ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫২ পি.এম

Newssign24 ছবি : সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক

সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ স্বীকার করেছেন যে ২০০৭-০৮ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ভুল ছিল। তিনি বলেন, সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে কিছু ত্রুটি ছিল এবং বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার আনতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে পূর্বের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে।

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক বিশেষ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত "মাইলাম ও জন-এর সঙ্গে সংলাপ" শীর্ষক এই আলোচনায় মূলত বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও সাবেক কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ। সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান আলোচনার সঞ্চালনা করেন। এতে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

গণতন্ত্র ও শাসন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ:

সংলাপে রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি। আমাদের সংস্থা গত পাঁচ বছর ধরে মার্কিন জনগণকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করছে এবং এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্য তথ্য সংগ্রহ করাই সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমি চাইলে সহজেই কোনো পক্ষ নিতে পারতাম, কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য সরবরাহ করা।’

ড্যানিলোভিচ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জবাবদিহিতার অভাব। সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। স্বৈরাচারী শাসন কখনোই দীর্ঘমেয়াদে গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ‘তথ্য যুদ্ধের’ সম্মুখীন। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মোকাবিলায় মার্কিন সরকার কাজ করছে। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী দুই দেশের সম্পর্কে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।’

সুশাসন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার:

ড্যানিলোভিচ জোর দেন যে, ‘গত ১৭ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধার করে তা সুশাসন ও উন্নয়নে কাজে লাগানো উচিত। নাগরিক সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়ন নীতিগুলোও চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।’

সঞ্চালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সুশাসনের উন্নয়নে এ ধরনের আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতামূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক সংলাপ প্রয়োজন।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা ও গণমাধ্যমের গুরুত্ব:

ড্যানিলোভিচ বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারেন।’

উভয় বক্তা গণতন্ত্রে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন, ‘গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, যার উত্তর দেন উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন এফ ড্যানিলোভিচ।

এই সংলাপের মূল বার্তা ছিল—বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও কার্যকর করতে বহুমুখী উদ্যোগ প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

খালেদা জিয়াকে ৪-৫ মে দেশে আনার প্রস্তুতি

news image

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে শ্রমিকদের অবস্থা বদলাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

news image

পুরোনো যানবাহন অপসারণের ঘোষণা বিআরটিএ'র

news image

আওয়ামী লীগ নেতা মায়া চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

news image

বাংলাদেশের জিআই পণ্য এখন ৫৫টি

news image

উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ!

news image

দলগুলোর সমর্থন না পেলে সব উদ্যোগ নিষ্ফল হবে : সিইসি

news image

ঢাকার ৫০ জায়গায় 'এয়ার পিউরিফায়ার', লক্ষ্য বায়ুদূষণ রোধ

news image

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

news image

মার্চ মাসে দেশে ১৬৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার

news image

এবার ভিন্নধর্মী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি'র তিন সংগঠন

news image

মে মাসেই শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার: আল জাজিরাকে ড. ইউনূস

news image

রোম থেকে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

news image

আন্দোলনের মুখে স্থগিত ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা

news image

এবার সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া

news image

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ইসির গেজেট

news image

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

বিএনপি কর্মী হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের নামে মামলা

news image

লোডশেডিং হচ্ছে ও হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

news image

কবি দাউদ হায়দারের চিরবিদায়

news image

রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

news image

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

news image

বিসিএস প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বন্ধ হচ্ছে বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপানো

news image

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত

news image

তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা যাবে সরকারি কর্মচারীদের 

news image

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের আল্টিমেটাম, এনসিপি নেতাদের সমালোচনা

news image

সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি

news image

অনেক বাড়ির মালিকও টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

news image

শিরীন-পলকসহ ১২ জন ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে পালিয়ে ছিলেন

news image

হেফাজত নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: আসিফ নজরুল