মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
সারাদেশ

প্রত্নপর্যটনের ঠিকানা হোক সিলেট

কেবি ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪৭ এ.এম

newssign24.com হযরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ। ছবি: সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক 

ঈদে পাড়া বেড়ানোর সংস্কৃতি থেকে দেশ-বিদেশ ঘোরাঘুরির নেশা। এভাবে ভ্রমণ ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশি সংস্কৃতিতে। এক্ষেত্রে যারা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অনুরাগী, তাদের জন্য সিলেট হতে পারে এক আদর্শ গন্তব্য।

পাহাড়, নদী, হাওর ও বনের মিশেলে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এ সকল প্রত্নসম্পদ পর্যটকদের সামনে উন্মোচন করতে পারে অতীতের রহস্যময় দিগন্ত।

দরগাহ-ই-হযরত শাহজালাল (র.) সিলেট নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত প্রাচীনতম আধ্যাত্মিক স্থাপনা। ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেন থেকে ভারতবর্ষে ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে আগত সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (র.) এর বাসস্থান ও মাজার।

মাজার প্রাঙ্গণে জালালি কবুতর, বড় পুকুরে গজার মাছ আর লঙ্গরখানার পাশেই রয়েছে তামার নির্মিত দুটি ডেকচি। কথিত আছে এর একেকটিতে সাতটি গরু ও সাতমণ চাল একসঙ্গে রান্না করা হতো। এ দুটি ডেকচি ১৬৯৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার (তৎকালীন জাহাঙ্গীরনগর) শায়খে আবু সাঈদ প্রস্তুত করে পাঠিয়েছিলে।

মাজার টিলার পশ্চিম পাশে একটি প্রাচীন কূপ আছে। অনেকের বিশ্বাস করেন, এই কূপটি অলৌকিকভাবে জমজম কূপের সাথে যুক্ত। সবমিলিয়ে হযরত শাহজালাল (র) এর দরগাহ কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান নয় বরং প্রত্নসম্পদের দারুন এক নিদর্শন।

দরগাহ মসজিদের ফলকে লিখিত তথ্য অনুযায়ী প্রাচীন মসজিদটি ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বাংলার সুলতান আবু মুজাফফর ইউসুফ শাহের সময়ে তার মন্ত্রী মজলিশে আতা কর্তৃক নির্মিত। পরে ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে বাহারাম খান ফৌজদারের সময়ে পুননির্মাণ করা হয়।

সিলেট নগরীর প্রবেশদ্বারেই রয়েছে তিনটি ঐতিহাসিক নিদর্শন যা ৭০০ বছর পুরাতন এ নগরকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের ওয়েস্টমিনস্টারে 'বিগ বেন' নামে পরিচিত একটি ঘড়িঘর নির্মাণ করা হয় ১৮৫৫ সালে। তার আদলে ১৮৭০ সালে দিল্লীর চাঁদনি চকের 'ঘণ্টাঘর' নির্মাণ করা হয় তৎকালীন ভাইসরয় থমাস নর্থব্রুকের সম্মানে।

১৮৭৪ সালে সেই বড়লাট নর্থব্রুকের আগমন ঘটেছিল সিলেট শহরে। তার সম্মানে বিগ বেন ও ঘণ্টাঘরের আদলে সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার ঐতিহাসিক চাঁদনী ঘাটে একটি ঘড়িঘর নির্মাণ করেন মৌলভীবাজারের লংলার তৎকালীন জমিদার আলী আহমদ খান।

এই অঞ্চলের স্থাপত্যের ঐতিহ্যকে ধারণ করে টিনের কাঠামোতে নির্মিত লাল রঙের এ ঘড়িঘর পরবর্তীতে আলী আহমদ খানের ছেলে আলী আমজদ খানের নামে পরিচিত হয়।

১৯৩২ সালে আসামের গভর্নর হন মাইকেল ক্বীন। সিলেট শহরে তার আগমনকে উপলক্ষ করে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির জন্য ১৯৩৩ সালে নির্মাণ শুরু হয় ক্বিন ব্রিজের যা ১৯৩৬ সালে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।

ধনুকের ছিলার মতো বাঁকানো, লোহা দিয়ে তৈরি ১ হাজার ১৫০ ফুট দীর্ঘ ও ১৮ ফুট প্রশস্ত এ ব্রিজটি ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন এবং সিলেট শহরের এক ঐতিহ্য।

১৯৩৬ সালেই সিলেট শহরের প্রথম পাবলিক মিলনায়তন সারদা হল নির্মাণ করেন বিমলাচরণ শ্যাম। তিনি তার ভাই স্বদেশি আন্দোলনের নেতা, আইনজীবী, শিক্ষানুরাগী ও চা-ব্যবসায়ী সারদাচরণ শ্যামের (১৮৬২-১৯১৬) স্মৃতি রক্ষার্থে এই মিলনায়তন নির্মাণ করেন।

ব্রিটিশ স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এই হলটি দৃষ্টিনন্দন এক ঐতিহ্য ধারণ করে আছে প্রায় একশ বছর ধরে এবং এই স্থানটি সিলেটের সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম স্মারক।

সিলেট নগর থেকে থেকে মাত্র দেড়ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থান সুপ্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের। সপ্তম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই রাজ্য ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশদের অধীনে আসার আগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিলো অনেকদুর। আর এ অঞ্চলের আনাচে-কানাচে রয়েছে অজস্র প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যা একদিনের মধ্যেই ঘুরে আসা যায়।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছয়টি জায়গায় রয়েছে রহস্যেঘেরা এমন মেগালিথিক; যা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত প্রত্ননিদর্শন। মেগালিথিক স্টোন দুই রকম, মেনহির ও ডলমেন। মেনহির হলো খাড়াভাবে স্থাপিত পাথর আর ডলমেন আড়াআড়ি বা শোয়ানো পাথর।

জৈন্তা উপজেলা সদরের জৈন্তেশ্বরী বাড়ির সামনে নয়টি মেনহির ও ১০টি ডলমেন রয়েছে। জৈন্তেশ্বরী বাড়ির ফটকের বিপরীতে ১৫ ফুট দূরে আছে নয়টি মেনহির ও ১০টি ডলমেন।

উপজেলার বড় দেউলের পশ্চিমে দুটি ডলমেন ও তিনটি মেনহির, মোকামবাড়িতে তিনটি মেনহিরের ভগ্নাবশেষ ও একটি দ্বিখণ্ডিত ডলমেন, জৈন্তাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরে নয়াগাঙ্গের উত্তর তীরে দুটি মেনহির ও সাতটি ডলমেন এবং খাসিয়াহাটিতে উপজেলা কমপ্লেক্সের রাস্তার পূর্বে দুটি করে মেনহির ও ডলমেন রয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের একদম কেন্দ্রে অবস্থিত জৈন্তেশ্বরী বাড়ি প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের আরেক নিদর্শন। সুপ্রাচীন উঁচু দেয়াল ঘেরা বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে; যেটাকে অনেকে স্থানীয় জৈন্তা রাজবাড়ি ভেবে ভুল করে।

জৈন্তেশ্বরী বাড়ি মূলত সিন্টেং বা জৈন্তা রাজাদের পূজিত দেবতার বাড়ি। লোককথা অনুসারে ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দে জৈন্তা রাজা যশোমানিক এই বাড়িটি নির্মাণ করে তাদের পূজিত কালী দেবীর প্রতিমা স্থাপন করেন।

বর্তমানে মূল ঘরটির ভিটা ও দক্ষিণের ঘরের একটি অংশ কোনমতে টিকে আছে। ঘরটির পশ্চিমে দুই ফুট উঁচু পাকা মঞ্চের মতো একটি স্থাপনা আছে যা চণ্ডির থালা নামে পরিচিত। এ মন্দিরের দেবীর প্রতিমা ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে চুরি হয়ে যায়।

মন্দিরের সীমানার মধ্যে একটি বাঁধানো প্রাচীন পানির কূপ আছে যা ইন্দিরা নামে পরিচিত আর পাশেই গোলাকৃতি একটি বেদি রয়েছে। যাতে নরবলি দেয়া হতো বলে কথিত আছে। উল্লেখ্য, ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশরা নরবলির প্রথা বন্ধের যুক্তিতে জৈন্তা রাজ্য দখল করে নিয়েছিল।

জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড থেকে ১ কিলোমিটার পূর্বদিকে জৈন্তা রাজবাড়ির অবস্থান। উপজেলা কমপ্লেক্সের মূল গেইটের ২০০ মিটার পশ্চিমে রাস্তার উত্তর দিকে টিলার উপর কিছু প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে আর চোখে পড়বে রাজবাড়ির ফটক।

রাজবাড়ির ভিতরেও একটি মন্দির আছে যা দেয়ালে ঘেরা এবং পাশে একটি ইন্দিরা বা কূপ রয়েছে। এখানের বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা ভেঙে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে এবং বর্তমান উপজেলা কমপ্লেক্সও রাজবাড়ির অংশ। তবে সেখানে প্রাচীন একটি পুকুর ছাড়া আর কিছু নেই।

বর্তমান রাজবাড়িটি জৈন্তার প্রথম রাজবাড়ি নয়। প্রথম রাজবাড়ি পাথর-নির্মিত ছিল। বর্তমান রাজবাড়ি আনুমানিক ১৭৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজা দ্বিতীয় বড় গোসাইয়ের সময়ে তার ভাগনে ও প্রধান সেনাপতি ফতেহ খাঁ'র তত্ত্ববধানে নির্মিত এবং এখানেই প্রথম ইটের ব্যবহার হয়। এর সঙ্গে মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেল লক্ষণীয়।

সিলেট নগরী থেকে তামাবিল মহাসড়ক হয়ে জৈন্তাপুরের পথে লালাখালের যাত্রামুখ সারিঘাট ছাড়িয়ে একটু সামনে গেলেই মহাসড়কের মধ্যেই রয়েছে আরেকটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, 'ইরাবতী পান্থশালা'।

কেউ বলেন এটি ছিল রাজকুমারী ইরাদেবীর বিশ্রামস্থল আবার কেউ বলেন এটি ছিল পুণ্যার্থীদের বিশ্রামকেন্দ্র। তবে এই স্থাপনাটি লোকজ, মোগল ও বাঙালি স্থাপত্যের মিশেলে এক অনন্য কীর্তি।

জৈন্তাপুর সদর ছাড়িয়ে শাপলাবিল খ্যাত ডিবির হাওরের মধ্যে রয়েছে আরেক পুরাকীর্তি। তা হলো জৈন্তা রাজ্যের শাসক সিন্টেং রাজবংশের শেষদিকের রাজা বিজয় সিংহের সমাধি।

আনুমানিক ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে গোপন চক্রান্তের শিকার হয়ে এই ডিবির হাওরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয় রাজা বিজয় সিংহকে। তারপর তাকে সমাহিত করা হয় হাওর সংলগ্ন টিলায়। সেখানে নির্মাণ করা হয় এক সমাধিসৌধ।

সিলেটের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন মণিপুর রাজ্যের সাথে মেলবন্ধন। সিলেটে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রত্নতাত্ত্বিক যে নিদর্শনগুলো রয়েছে তার মধ্যে নগরীর মির্জাজাঙ্গালে মণিপুরী রাজবাড়ি ও লামাবাজারে তিন মন্দির অন্যতম।

ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালে রাজবাড়িটি নির্মিত হয়। তৎকালীন মণিপুর রাজ্য থেকে বিতাড়িত তিন সহোদর রাজা চৌর্জিৎ সিং, মার্জিত সিং ও গম্ভীর সিং রাজবাড়িটি তৈরি করে এখানে বসবাস শুরু করেন।

রাজাদের নির্মিত রাজবাড়ির তিন-চতুর্থাংশ ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে। তবে নিকটবর্তী লামাবাজার এলাকায় ১৮২৬ সালে রাজা গম্ভীর সিং নির্মিত তিন মন্দির আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে সগৌরবে।

সিলেটের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত পেঁচাগড়ের হারংহুরং। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি সাধারণ পর্যটকদের চেয়ে যারা তুলনামূলক বেশি অভিযানপ্রিয়, তাদের জন্য অন্যতম এক আকর্ষণ।

১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালাল (র) এর নেতৃত্বে দিল্লীরাজের সেনাবাহিনীর হাতে পরাজিত হন গৌড় তথা প্রাচীন শ্রীহট্ট রাজ্যের রাজা গোবিন্দ। পরাজিত রাজা ও তার সেনাবাহিনী তখন সিলেট শহরের নিকটবর্তী পেঁচাগড় গিরিদূর্গের এক গোপন সুরঙ্গপথে পালিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

সিলেটি ভাষায় 'হারং' শব্দের অর্থ হচ্ছে সাঁকো বা বিকল্প পথ আর 'হুরং' মানে 'সুড়ঙ্গ'। অর্থাৎ 'হারং হুরং' শব্দ দ্বারা বিকল্প সুড়ঙ্গ পথ বোঝায়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

নুরুল হুদাকে ধরার সময় যে মব জাস্টিস হয়েছে তা কাম্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

অষ্টগ্রামে যৌথ অভিযানে মাদকসহ কারবারি আটক

news image

ময়মনসিংহের দুই সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ

news image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ

news image

৮ অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে সন্ধ্যার মধ্যে

news image

মিঠামইনে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব

news image

এ যেন এক নির্মম নিয়তি!

news image

৫ রাজাকারকে কোপানো সেই মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু

news image

ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড 

news image

অর্ধেকে নেমেছে চামড়ার দাম, বিপাকে কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

news image

সন্ধ্যার মধ্যে ১৩ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস

news image

২৫ বছর পর অক্ষত লাশ মিললো কুড়িগ্রামে

news image

আশুগঞ্জে সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে তলিয়ে গেছে পাথরবাহী বাল্কহেড

news image

বিজয়নগরে মাদক কারবারি গ্রেপ্তার, সিএনজি জব্দ

news image

নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হলো বান্দরবানে

news image

হাওরের সৌন্দর্যে পর্যটকের পদভারে মুখর কিশোরগঞ্জ

news image

শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ সমু চৌধুরী, রয়েছেন মাজারেই

news image

প্রথম দিনেই এক ট্রলারে উঠে এলো ৪৩ মণ ইলিশ

news image

কসবায় ঈদ পুনর্মিলনীতে বিএনপির ঐক্যের মহামিলন

news image

চার ঘণ্টার মুক্তি পেয়ে মাকে শেষ বিদায় সাংবাদিক রুপার

news image

বরগুনায় ডেঙ্গুতে একদিনে ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৭২ জন

news image

আড়াইহাজার ও কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে ৪ কন্যাশিশুর মৃত্যু

news image

বিজয়নগরে ১৫৭ বোতল সিরাপসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

news image

চাঁদপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনীতে হামলায় ৬ জন আহত

news image

সৈয়দপুরে প্রখর তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

news image

চট্টগ্রামে আরও একজনের করোনা শনাক্ত

news image

কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ব্যবসায়ী নিহত

news image

বউ আনতে গিয়ে মাংস বিড়ম্বনায় বর খেলেন বেদম মার

news image

সিলেটে রিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেলো নারী চিকিৎসকের

news image

স্ত্রীকে স্মরণ করে কাঁদলেন কাদের সিদ্দিকী