মে.হো ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৬ পি.এম
এনএস ডেস্ক
একসময় গ্রামবাংলার হাটবাজারে মাটির তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রীর ছিল ব্যাপক চাহিদা। দৃষ্টিনন্দন ও ব্যবহারিক এই সামগ্রী সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।
মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে। পেশাদার কারিগরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, কারণ আধুনিক উপকরণের সহজলভ্যতা মাটির সামগ্রীর বাজার সংকুচিত করেছে। তবুও কিছু কারিগর নিজেদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো হাতে গোনা কিছু পাল সম্প্রদায়ের কারিগর মাটির হাঁড়ি, পাতিল, থালা, কলস, সড়াই, ব্যাংক, ফুলদানি ইত্যাদি তৈরি করে যাচ্ছেন।
এক সময় এই শিল্পের ওপর নির্ভর করে পাল সম্প্রদায়ের বসতি গড়ে উঠেছিল। গ্রামের হাটবাজারে তাদের তৈরি সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে মানুষের রুচি ও চাহিদা। প্লাস্টিক, মেলামাইন ও স্টিলের তৈরি টেকসই ও ঝকঝকে পণ্য বাজার দখল করায় মাটির সামগ্রী হারিয়ে যেতে বসেছে।
শ্রীমঙ্গলের সন্ধানী আবাসিক এলাকার কুমারপাড়ায় কয়েকজন কারিগর এখনো মাটির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে জ্যোতির্ময় পাল বলেন, ‘আগে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৪০টি পাল পরিবার এই পেশায় ছিল, এখন মাত্র কয়েকটি পরিবার টিকে আছে।’
বীণা পাল, যিনি একটি মৃৎশিল্প কারখানা পরিচালনা করেন, বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমরা এই পেশায় আছি, কিন্তু এখন আর সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে। তাই সন্তানদের পড়াশোনা করিয়ে অন্য পেশায় পাঠিয়েছি। তবে আমরা স্থানীয় অসহায় নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। সরকারি সহায়তা পেলে আরও নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।’
ঢাকার বিক্রমপুর থেকে আসা প্রতিমাশিল্পী বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ‘৩০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি, কিন্তু এখন আগের মতো চাহিদা নেই। মজুরি ঠিকমতো দিতে না পারায় অনেক কারিগর পেশা বদলাচ্ছে। আমিও ভাবছি এই কাজ ছেড়ে দেব।’
মৃৎশিল্পের এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ, সহজ ঋণ সুবিধা এবং আধুনিক বিপণন কৌশল প্রয়োগ করা গেলে হয়তো এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প নতুন করে প্রাণ ফিরে পেতে পারে।
গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন, ছড়িয়েছে বসতবাড়িতেও
নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী ঢামেকে ভর্তি
একসঙ্গে দুই বোনের প্রাণ গেল পুকুরে
এ মাসে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়-কালবৈশাখী, থাকবে তাপপ্রবাহ
নাফ থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
প্রতিবন্ধী সন্তানের যন্ত্রণা সইতে না পেরে...
আনোয়ারায় পাহাড় ধসে ২ শিশু নিহত, গুরুতর আহত ২ শিশু
কসবায় ৭০ লাখ টাকার ভারতীয় চশমা জব্দ
মৎস্য আড়তে অভিযান ৭০ কেজি জাটকা জব্দ
বুধবার বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে
ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু পরিবহন: দুইজনের কারাদণ্ড, ৯টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ তাসলিমা মারা গেলেন
রাজধানীসহ দেশের ১৬ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস
বিজয়নগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
৫ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানি
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ সীমার মৃত্যু, ৪ জন আশঙ্কাজনক
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারাগারে থাকা হাজতির মৃত্যু
বিএসএফের গুলিতে ঝিনাইদহ সীমান্তে একজন নিহত
সোমবার থেকে তাপপ্রবাহ কমতে পারে
এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী নিহত
আজও থাকবে তাপের উত্তাপ
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
আখাউড়ায় বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৭৮ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার এক
ঈশ্বরদীতে চরের জমি নিয়ে বন্দুকযুদ্ধে চারজন গুলিবিদ্ধ
হবিগঞ্জে সমিতির দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
দেশজুড়ে তাপপ্রবাহে জনজীবনে হাঁসফাঁস
লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেমিনার অনুষ্ঠিত