এবার 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নয়, 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'

এনএস রিপোর্ট 
‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’- এই প্রতিপাদ্যে এবার পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এর নামও বদলে গেছে। এর আগে পহেলা বৈশাখে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামে যে র‍্যালিটি হতো, এবার সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। 

দীর্ঘদিন ধরে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'র নাম পরিবর্তনের দাবি করছিল দেশের ইসলামী দলগুলো। আর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন হচ্ছে, এমন আলোচনাও চলছিল কিছুদিন ধরে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের তথ্য জানানো হয়। এ সময় চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা আনন্দময় হবে।

তবে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ‘ফ্যাসিবাদকে’ বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এ দেশে আর না হয়; সে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে সবার মধ্যে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্ষবরণের এবারের আয়োজনে ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে। এর মধ্য দিয়ে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' 'সকলের হয়ে উঠবে' বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা।

আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙ্গার আহবানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' হিসেবে পরিচিতি পায়। ২০১৬ সালে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।