বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকির লাল শ্রেণীতে বাংলাদেশ

L.M. ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৪ এ.এম

প্রতীকী ছবি

এনএস রিপোর্ট
প্রায় দুই বছর ধরে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকির লাল শ্রেণীতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, ভারত, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ ও রাশিয়ার অবস্থানও এই শ্রেণীতে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য নিরাপত্তার হালনাগাদ পরিস্থিতির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে। ১০ থেকে ১২ মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বব্যাংক খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে থাকে। এই প্রতিবেদনে ১৭২টি দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতি ছয় মাস পর পর তুলে ধরা এই তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত দুই বছর ধরেই বাংলাদেশের অবস্থান লাল শ্রেনীতে রয়েছে।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির অবস্থান বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক বেগুনি, লাল, হলুদ এবং সবুজ- এই চার শ্রেণীতে দেশগুলোকে ভাগ করে থাকে। যেসব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশ বা তার বেশি সেসব দেশকে বেগুনি শ্রেণীতে, যেসব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে তাদেরকে লাল শ্রেণীতে রাখা হয়। ২ থেকে ৫ শতাংশের মূল্যস্ফীতির মধ্যে থাকা দেশগুলোকে হলুদ এবং ২ শতাংশের কম খাদ্য মূল্যস্ফীতির দেশগুলোকে সবুজ শ্রেণীতে রাখা হয়।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, সৌদি আরব, ম্যাকাও, চীন, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড ও বেনিন সবুজ শ্রেণীতে রয়েছে। আর বেগুনি শ্রেণী অর্থাৎ সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে- দক্ষিণ সুদান, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, মিয়ানমার, হাইতি, মালাওয়ি। উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই দেশগুলো টানা এক বছর বেগুনি শ্রেণীতে রয়েছে।

অর্থনীতি বিশ্ব ব্যাংক খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশ লাল শ্রেণী