মার্চ মাসে দেশে ১৬৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার

M.A. ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৩৮ পি.এম

জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

এনএস রিপোর্ট

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে ১৬৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই সময়ে ৪৪২ জন নারী ও শিশুর ওপর নির্যানের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২৫ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আরও জানায়, এই সময়ে ১৮ জন শিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ শিশুকে, আত্মহত্যা করেছে ২ শিশু। এছাড়া ৭০ জন নারী ও শিশু ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী অধিকার রক্ষায় ৭টি সুপারিশ তুলে ধরেছে। সেগুলো হল-

১. নারী বিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা বন্ধের লক্ষ্যে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

২. নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৩. মব সহিংসতার অবসানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. নারী নির্যাতন ও সহিংসতার বিষয়ে বাস্তব তথ্য প্রদানে সংবাদমাধ্যমকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।

৬. মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস প্রতিহত করতে হবে।

৭. সমতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা বিরোধী অপতৎপরতা প্রতিহত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সম্পাদক সীমা মোসলেমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি করা হয়, দেশে নারী ও কন্যা শিশুর ওপর সহিংসতার মাত্রা বাড়ছে। এক্ষেত্রে অপরাধ দমনে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের খসড়া সিদ্ধান্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় মহিলা পরিষদ নারী-শিশু নির্যাতন সংবাদ সম্মেলন