জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে সাবেক জাপা নেত্রীর মামলা

L.M. ২৪ মে ২০২৫ ০৬:৪১ পি.এম

ছবি সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক

মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য নাজমিন সুলতানা তুলি। তবে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর অভিযোগটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

মামলায় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদকেও আসামি করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- জাপার অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার, গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সদস্য মো. সাঈদুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বাদি উল্লেখ করেছেন, জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ‌ডামি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেন। সে সময় বাদীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠানো হয়। বাদী এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে প্রতিবাদ করলে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়। পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তার সহযোগিতায় এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাতে বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর তার ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সে সময় বাদী এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতেহ পারেননি। কারণ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজমিন সুলতানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ সে সময় নরসিংদী-৪ আসন থেকে জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম আমি। তখন জিএম কাদের আমার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি না দিলে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানিসহ দলীয়ভাবে অপদস্ত করা হয়।’

নাজমিন সুলতানা আরও বলেন, ‘জি এম কাদেরকে সহযোগিতা করেন ডিবি হারুনসহ প্রশাসনের অন্যরা। আওয়ামী সরকারের পতন হলেও এখনও তারা বিভিন্নভাবে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টায় লিপ্ত। আমি দীর্ঘদিন ট্রমায় ভুগেছি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নের শিকার হয়েছি। যারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

রাজনীতি জাতীয় পার্টি জি এম কাদের মামলা