MA ৩১ জানু ২০২৫ ১২:৩৩ এ.এম
এনএস ডেস্ক
বরই বা কুল- আমাদের খুব পরিচিত একটি ফল। একসময় টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত এ ফল শীতকালে পাওয়া গেলেও এখন পুরো বছরই পাওয়া যায়। অনেকে বরই খেতে খুব পছন্দ করেন। আবার টক বলে কেউ কেউ তা খান না। বরই কাঁচা-পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। অনেকে আবার আঁচার বানিয়ে খান।
দেশে এখন বহু জাতের বরই পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- দেশি টক বরই, নারকেল বরই, বাউ কুল, আপেল কুল, থাই কুল। আকারে ছোট হলেও বরই-এর পুষ্টিগুণ জানলে আপনি অবাক হবেন। এটি মানবদেহের জন্য কতটা উপকারী তা আপনি জানতে পারলে, প্রতিদিন অন্ততঃ বরই খেতে ভুলবেন না।
পুষ্টিবিদদের মতে, ৮০ গ্রাম কুল বরই-এ যে পুষ্টি উপাদান থাকে তা হলো- ২৯ কিলো ক্যালরি, আমিষ ০.০৫ গ্রাম, চর্বি ০.১০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭.০০ গ্রাম, ফাইবার ১.৭০ গ্রাম, পটাশিয়াম ১৯২ মিলিগ্রাম। বরইয়ের রসকে অ্যান্টি-ক্যান্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বরইয়ের মধ্যে। হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বরই খুব উপকারী একটি ফল। এতে পলিফেনোলস বলে এক ধরণের উপাদান রয়েছে, যা কার্ডিও ভাসকুলার ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
বরই-তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহকোষকে ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বরইয়ের জুড়ি নেই। এর ফলে মৌসুমী অসুখ- জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে দেহ সুরক্ষা পায়। হজম শক্তি ও খাবারে রুচি বাড়াতে বরই খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
বরইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় ইনফেকশনজনিত রোগ; যেমন- টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণায় ঘা, জিহ্বাতে ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর হয়। যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে বরই। ফলে যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধ হয় সহজেই। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বরই বেশ উপকারী। রক্ত বিশুদ্ধকরণে বরইয়ের ব্যাপক ক্রিয়ার কথা বলা যায়। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বরই খুবই উপকারী ফল। বরইয়ে থাকা ফাইবার রক্তের সুগার বাড়তে বাধা দেয়। বরইয়ে ক্লোরোজেনিক এসিড থাকে। এই অ্যাসিড রক্তে থাকা শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
বরইতে থাকা নাইট্রিক অ্যাসিডের কারণে রক্ত কণিকা সুস্থ থাকে। যার কারণে রক্তে সঞ্চালন ভালো হতে শুরু করে। বরইতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যার কারণে শরীরে ফোলাভাব কমে যায়। যা শরীরে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
নিয়ম করে পরিমিত বরই খেলে ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস, কোষ্ঠকঠিন্যের মতো সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলতে পারে ধীরে ধীরে।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি