MA ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৮ এ.এম
এনএস ডেস্ক
মানবদেহের জন্য উপকারী বিভিন্ন উপাদান সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিতে দিয়ে রেখেছেন। এসব উপাদানের মধ্যে শাক-সবজি অন্যতম। শাক-সবজিতে থাকা নানা ধরণের উপাদান মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। যারা নিয়মিত শাক-
সবজি খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে উল্লেখ করার মতো। তবে বড় কোনও রোগ হলে শুধুমাত্র সবজির গুণাবলীর ওপর নির্ভর করলে চলবে না, অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
দেশীয় শাক-সবজির মধ্যে অত্যন্ত উপকারী একটি হলো কচু শাক। পুষ্টিগুণে ভরপুর কচু শাকের বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। শহরাঞ্চলে বসবাসকারীরা কচু শাকের প্রতি তেমন দুর্বল না হলেও গ্রামে এখনো এই শাকের ব্যাপক কদর রয়েছে। অনেকে কচু শাককে ‘গরীবের শাক’ বলে অনাদর করলেও এটির গুণ সম্পর্কে জানলে আপনি খেতে দ্বিধা করবেন না।
প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে রয়েছে- ৬.৮ গ্রাম শর্করা, ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন, ১০ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন), ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১,৫ গ্রাম চর্বি বা স্নেহ, ২৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, খাদ্য শক্তি ৫৬ কিলোক্যালরি।
নানা পদে কচু শাক খাওয়া হয়ে থাকে। কখনও ভর্তা করে, কখনও তরকারিতে দিয়ে, কখনও মাছ বা শুটকি মাছের সঙ্গে রান্না করে কচু শাক খান অনেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, কচু শাকে থাকা ভিটামিন ও আয়রন শরীরের নানা কাচে লাগে। কচু শাকে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান শরীরের যে কোনও ধরণের প্রদাহ কমাতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তির ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে এই শাক। নিয়মিত কচু শাক খেলে দাঁত ও হাড় ভালো থাকবে।
এই শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাসিয়াম। যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কচু শাকে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে কচু শাক খান, উপকার পাবেন। কচু শাকে ভিটামিন এ, যা রাতকানা রোগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যা দূর করে। নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে কচু শাকে। এ উপাদানটি খাবার হজমে সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কচু শাক। আর খবর হজম হওয়া ও কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর হওয়া মানে শরীরের অনেক সমস্যা কমে যাওয়া। কচু শাকে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি শরীরের বিভিন্ন ধরণের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।
বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ছোটবেলা থেকে কচু শাক খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। অনেকের কচু শাক খেলে গলা চুলকায়। এমন যাদের হয় তাদের জন্য রান্নার করার সময় লেবু বা সিরকার ব্যবহার করা হলে উপকার পাবেন।
এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে যা করবেন
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ